ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় কেউ যেন ‘হাত দিতে না পারে’ সেজন্য সংবিধানে ‘শক্তিশালী’ সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেখে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংশোধনীটা শক্তিশালী করতে চাই। ভবিষ্যতে যেন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় হাত না দিতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় কেউ যদি পরিবর্তন আনতে চায় সেটাও গণভোটের মাধ্যমে করার প্রস্তাব দিয়েছি।”
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত বলে জানিয়েছেন মি. আহমদ।
তিনি বলেন, “ দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট গঠনের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই একমত। কিন্তু এর গঠন প্রক্রিয়া কী হবে এবং এর ক্ষমতা ও কার্যাবলী কী হবে, তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।”
এ বিষয়ে নিজের দলের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া বিদ্যমান সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসন যেভাবে নির্ধারণ হয় সেভাবে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
মি. আহমদ বলেন, “এখন দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে। আমাদের দেশের যে আর্থিক সক্ষমতা সেই বিষয়ে আরেকটি পার্লামেন্ট সৃষ্টি করা এবং সেই পার্লামেন্ট যদি নিম্নকক্ষের রিপাবলিক হয়, তাহলে সেটার প্রয়োজন আছে কিনা সেসব প্রশ্ন এসেছে। কারণ এটাও একটা আলাদা পার্লামেন্টের মত ব্যয়বহুল পার্লামেন্ট হবে।”
সবার মতামত নিয়ে এসব বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন আগামী রোববার সিদ্ধান্ত দেবে। পরে দলটি তাদের প্রতিক্রিয়া বা সম্মতি বা অসম্মতি জানাবে বলেও উল্লেখ করেছেন মি. আহমদ।
সুত্র: বিবিসি