Tuesday, April 29

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ সরকার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিন্দা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় তা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়নি এবং ক্রমবর্ধমানভাবে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচার বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানায় এবং ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানায়। এছাড়া, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে ইসরায়েলের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানাচ্ছে, তারা যেন নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করে, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা এবং অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে তাদের দায়িত্ব পালন করে।
এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনার প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং এ বিষয়ে কূটনীতি ও সংলাপের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন। অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজারের বেশি এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার নিখোঁজকে মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version