বাংলাদেশের খবর
ঢাকাশুক্রবার , ১৮ জুলাই ২০২৫
  1. খেলা
  2. চাকরি
  3. জাতীয়
  4. জীবনযাত্রা
  5. প্রযুক্তি
  6. বার্তা ময়মনসিংহ
  7. বিশ্ব সংবাদ
  8. মূলপাতা
  9. সর্ম্পক
  10. সারাদেশ
  11. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আফগান তথ্য ফাঁসের ঘটনায় বিপাকে যুক্তরাজ্য

Newsbd
জুলাই ১৮, ২০২৫ ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-সিক্স এবং স্পেশাল ফোর্সের সদস্যসহ ১০০ জনের বেশি ব্রিটিশ কর্মকর্তার গোপনীয় তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার আফগান নাগরিকের তথ্যের সঙ্গে এসব কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয়ও ফাঁস হয়ে গেছে।

এই ঘটনার ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় এবং তার সর্বশেষ পরিণতি সম্পর্কিত তথ্য একটি নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে গোপন রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের একজন বিচারক আংশিকভাবে ওই আদেশটি প্রত্যাহার করেন।

যার ফলে সংবাদ মাধ্যমও ঘটনাটি প্রকাশ করতে পেরেছে। যেখানে বলা হয়, ডাটাবেসে থাকা বিস্তারিত কেসনোটগুলোয় বিশেষ বাহিনী এবং গুপ্তচরদের গোপন ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সরকার ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে, আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের সাথে কাজ করা এবং যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসনের জন্য আবেদনকারী প্রায় ১৯ হাজার আফগানের তথ্য অসাবধানতাবশত ফাঁস হয়ে গেছে।

সংঘাতের সময় ব্রিটিশ সরকারের সাথে কাজ করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তালেবানরা। তাই অনেকেরই গুরুতর ক্ষতি এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল বলেও জানানো হয়েছিল।

এই কারণেই তাদের তথ্যভাণ্ডার তথাকথিত বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। এটি এমন এক ধরনের আদেশ যা এর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রতিবেদন করতেও বাধা দেয়।

তথ্যটি জানতে পেরে আফগানিস্তানের একজন ব্যক্তি এর কিছু অংশ ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি বাকিগুলোও প্রকাশ করতে পারেন।

অথচ তথ্য ফাঁসের এই ঘটনাটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘটলেও ২০২৩ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সরকার তা বুঝতেই পারেনি।

বুধবার বিবিসি জানতে পেরেছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই ব্যক্তির আবেদন পর্যালোচনা করার কাজটি দ্রুত নিষ্পন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং তথ্য পোস্ট করার পরে তাকে দেশে নিয়ে এসেছে।

এমন ধারাবাহিক কয়েকটি ঘটনাকে মূলত ‘ব্ল্যাকমেইল’ বলে দাবি করেছে সরকারি সূত্রগুলো।

ওই ব্যক্তির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে তারা এটি বলেছে, ‘আফগান নাগরিকদের স্থানান্তর প্রকল্পের অধীনে যদি কেউ যুক্তরাজ্যে আসে’ তা হলে তাকে ‘প্রবেশের জন্য কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা’ দিতে হবে।

২০২৩ সালে এই তথ্য ফাঁসের ঘটনা সামনে আসার পর যুক্তরাজ্য সরকার গোপনে আফগানিস্তান রেসপন্স রুট (এআরআর) প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য হয় – যা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি পুনর্বাসন প্রকল্প, যাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তথ্য ফাঁসের বিষয়ে জানানো হয়নি।

এই প্রকল্পটি ইতোমধ্যে চার হাজার ৫০০ আফগান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছে এবং আরো দুই হাজার ৪০০ জনকে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত করার সম্ভাবনা রয়েছে, যাতে আনুমানিক ব্যয় হবে ৮৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।

লন্ডনে যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনীর সদর দপ্তরে কর্মরত একজন ব্যক্তি অসাবধানতাবশত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের পুনর্বাসনের আবেদন ইমেইল করার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি মাত্র ১৫০ জনের তথ্যই পাঠাচ্ছেন।

মঙ্গলবার কঠোর-নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের পর, একটি দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বিশেষ বাহিনী এবং নিরাপত্তা পরিষেবার ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ রোধ করা সম্ভব হয়েছিল।

কিন্তু বৃহস্পতিবার এটিও প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গণমাধ্যম সংস্থার একটি গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন যার অর্থ হলো- সাংবাদিকরা এই ঘটনার কিছু তথ্য নিয়ে রিপোর্ট করতে পারবেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।